স্বদেশ ডেস্ক:
গাইবান্ধায় অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে পুলিশ ফের অপহরণকারীর হাতে তুলে দেওয়ার পর ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন পুলিশ সুপার। মঙ্গলবার রাতে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মজিবর রহমান ও এসআই মোশাররফকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার এবং সদর থানার ওসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এ দিকে ঘটনার পর দিন ১১ এপ্রিল পুলিশ সুপার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ওই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ী হাসান আলীকে উদ্ধারের পর থানা থেকে অপহরণকারী মাসুদ রানার হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের স¤পৃক্ততার অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়। পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহাত গাওহারীকে আহ্বায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার্স)
আবুল খায়ের ও পুলিশ পরিদর্শক (ডিআই-ওয়ান) আব্দুল লতিফকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি তদন্ত শেষে ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
গত ৫ মার্চ জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলীকে অপহরণ করে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক দাদন ব্যবসায়ী মাসুদ রানা। এরপর তাকে উদ্ধারের দাবিতে হাসানের স্ত্রী বিথী বেগম থানায় অভিযোগ করলে মাসুদের বাড়ি থেকে উদ্ধারের পর অপহৃত ব্যবসায়ী হাসান আলীকে আবারও অপহরণকারী মাসুদের জিম্মায় দেয় পুলিশ। প্রায় এক মাস মাসুদের বাড়িতে আটক অবস্থায় থাকার পর গত ১০ এপ্রিল শনিবার মাসুদের বাড়ির টয়লেট থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যুর আগে মোবাইল থেকে খুদে বার্তায় হাসান আলী স্বজনদের জানান, মাসুদ রানা তাকে আটকে রেখে নির্যাতন করে এবং থানায় পুলিশের উপস্থিতিতে তার কাছ থেকে মিথ্যা অঙ্গীকার নেয়। ওই দিনই মাসুদকে আটক করে পুলিশ। পরদিন ১১ এপ্রিল রবিবার দলীয় পদ থেকে মাসুদ রানাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।